রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, “বিএনপির সঙ্গে আজকের আলোচনা এবং সুচিন্তিত মতামত শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “আলাপ-আলোচনায় মাধ্যমে যে কোনো ইস্যু সমাধানের বহু পথ খুঁজে পাওয়া যায়। আমার বিশ্বাস, আপনাদের প্রস্তাবগুলো পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের জন্য রোববার বিকেলে বঙ্গভবনে উপস্থিত হয় বিএনপির প্রতিনিধি দল।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলটির ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।”
এক ঘণ্টার স্থায়ী বৈঠকে রাষ্ট্রপতি একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একটি সার্চ কমিটি ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে তার দলের প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন এবং গণপ্রতিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের জন্য তার দলের প্রস্তাবও তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, “রাষ্ট্রপতি বিএনপি প্রতিনিধি দলকে বলেন, আজকের আলোচনা এবং আপনাদের সুচিন্তিত মতামত শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
বেগম জিয়া আলোচনার জন্য বিএনপিকে আহবান জানানোয় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগে রাষ্ট্রপতির সাফল্য কামনা করেন।
তিনি বলেন, “তার দল নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
বিএনপি প্রতিনিধি দলে ছিলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি আগামী ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সঙ্গে, ২১ ডিসেম্বর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে এবং ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সঙ্গে বৈঠক করবেন।