নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড়ব্রিজ এলাকায় বাস খাদে পড়ে বাস মালিকের স্ত্রী, দুই শিশু সন্তানসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ১৯ যাত্রী। রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নাটোর শহরের বঙ্গোজল এলাকার বাসিন্দা ও বাসটির মালিক লিখন হোসেনের স্ত্রী সুলতানা বেগম (৩৮), ছেলে শাকিল হোসেন (১০), মেয়ে ঐশী (৭), সিংড়া গ্রামের এজাজুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম এবং পাবনার ফরিদপুর উপজেলার অসিত কুমার (৫০)।
সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহেদ জানান, বঙ্গোজল এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী লিখন হোসেনের মালিকানাধীন লিখন পরিবহনের একটি বাস সকালে ৫২ জন যাত্রী নিয়ে বগুড়া থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল। পথে জোড়ব্রিজের কাছে এলে বাসটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এসময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাস মালিকের স্ত্রী, দুই শিশু সন্তান ও অসিতের মৃত্যু হয়। এতে মরিয়মসহ অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাটোর সদর হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মরিয়মের। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর কর্মীরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।
আহতদের মধ্যে বাস মালিকের অপর ছেলে সাদিক হোসেন (১৫) রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সিংড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদেকুর রহমান, সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মণ্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।