বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে আমরণ অনশনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসুস্থ ছয় শিক্ষককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনশনে তারা অসুস্থ হযে পড়েন। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষকরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার মো. আবু তালেব, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার সালেহা আক্তার, বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার আয়নাল হক, চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ছিদ্দিকুর রহমান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার জাহিদ হাসান।
দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর জাতীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি চলছে।
অনশনে থাকা এক শিক্ষক বলেন, ‘অনশনে আমাদের কয়েকজন শিক্ষক অসুস্থ হলে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। আরও কয়েকজন অসুস্থবোধ করছেন।’
শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যোগে এ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়।
মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শিক্ষক এক দফা দাবি আদায়ে এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানা গেছে।
অনশনকারী শিক্ষকরা জানান, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের একধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন।
কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ ওপরে।
এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন।
আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)।
সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের একধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।