অভিবাসীরা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘‘অভিবাসন ছাড়া আধুনিক বিশ্ব অকল্পনীয়। এটি সব সমাজকে মেনে নিতে হবে।”
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘নবম আন্তর্জাতিক অভিবাসন সম্মেলন-২০১৬’ এর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী অভিবাসীদের সার্বিক ত্যাগ সম্পর্কে বলেন, “একজন অভিবাসী যখন তার দেশ ও পরিবার ত্যাগ করে তখন তাকে অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়। তিনি অন্য দেশের উন্নয়নে কাজ করেন। আর এজন্য যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় পরদেশে কাটিয়ে দেন। অথচ আমরা অনেক সময় তাদের অবজ্ঞা করি।”
‘অভিবাসীরা আজ আমাদের কিংবা তাদের বিষয় নয়। সবার বিষয়’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “মানুষ শুধু কাজের জন্য নয়, বহুবিধ কারণে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। তাই আমাদের দেখতে হবে, আমরা কীভাবে অভিবাসীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পারি। আমাদের আরো নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে, প্রতিটি অভিবাসী যেন সুরক্ষা পায়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আমরা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি।”
‘সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসীদের সুরক্ষায় বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তবে সেই অর্জনকে আরো বাড়াতে হবে’ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অভিবাসন নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অভিবাসন একটি জটিল মানবিক ব্যাপার। অভিবাসন নিয়ে অভিবাসীদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বরং অভিবাসন কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটি দেখা দরকার।”
অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, “গত সেপ্টেম্বরে অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সম্মেলনে এ বিষয়ে বিশ্ব আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্র ও নাগরিকের সঙ্গে একটি ব্যাপকভিত্তিক চুক্তিতে উপনীত হতে যাচ্ছি, যা ২০১৮ সালে কার্যকর করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “এজেন্ডা-২০৩০ এ অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সম্পর্কে আমরা যে অঙ্গীকার করেছি, তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি আনন্দিত যে, সংকট ও সংঘাতময় পরিবেশে অভিবাসন ও সুশাসন বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের অবশ্যই অভিবাসীদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করতে হবে।”