মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার পর মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে।
তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি দিল্লির মারকাজের শূরা সদস্য হজরত মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
ইজতেমা ময়দানে বিদেশি নিবাসের পূর্ব পাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোনাজাতে অংশ নেন। এ ছাড়া গুলশানের বাসা থেকে মোনাজাতে অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এর আগে অনুষ্ঠিত হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার তিন দিনের প্রথম পর্ব। এর পর চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী শুক্রবার শুরু হবে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়া নিরাপদ করতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে মোনাজাত অনুষ্ঠান পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানগামী সড়কে যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পুলিশ। গত বছরের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি।
মহান আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভের ব্যাকুলতায় দ্বীনের দাওয়াতে মেহনত করার জন্য ইসলামের মর্মবাণী সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে ছুটে আসছেন টঙ্গীর তুরাগতীর ইজতেমা ময়দানে। শনিবারও টঙ্গী অভিমুখী বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে ছিল মানুষের ভিড়। আজ আখেরি মোনাজাতের পরও মানুষের এ ঢল অব্যাহত ছিল।
২০১৫ সাল থেকে দেশের ৬৪টি জেলাকে দুই বছরে চার পর্বে বিভক্ত করে ইজতেমার আয়োজন করায় এবারের প্রথম পর্বের ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা স্বস্তিতে ও নির্বিঘ্নে সময় কাটিয়েছেন। এলাকাবাসীও নানা ভোগান্তি থেকে অনেকটা মুক্ত ছিল।
এবারও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিরা রেডিও-টিভিতে আখেরি মোনাজাত সরাসরি সম্প্রচারে অনুমতি দেননি। মুরুব্বিদের ছবি তোলাও বারণ করে দিয়েছে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ। তারপরও কিছু কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইজতেমা কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতে আখেরি মোনাজাত সম্প্রচার করতে পারে বলে জানা গেছে।