আকবর রাব্বীঃ মা তার স্নেহ-মমতায় তার সন্তানকে আগলে আগে। পেটে ধারণ করা থেকে শুরু করে মা তার মৃত্যু পযর্ন্ত সন্তানের ছায়া হয়ে থাকার চেষ্টা করে।তাই পৃথিবীতে মায়ের কোনোই বিকল্প নেই।মায়ের কোলেই শিশু সবচেয়ে নিরাপদ থাকে।এই জন্যই বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থেও মায়ের স্থান সর্বোচ্চ দেওয়া আছে। যদিও মাকে ভালোবাসা-শ্রদ্ধা জানানোর কোন দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না। তবুও মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করার দিন আজ। জগতে মায়ের মতো এমন আপনজন আর কে আছেন! তাই প্রতি বছর এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় প্রিয় মমতাময়ী মায়ের মর্যাদার কথা।
মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার হলো 'বিশ্ব মা দিবস'। পৃথিবীর সবচেয়ে দৃঢ় সম্পর্কের নাম 'মা'। সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দের নাম 'মা'।সন্তানের কাছে সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছেন তার মা।
মাকে ভালোবাসা আর তার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধার বিষয়টি পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্ব মা দিবসের ইতিহাস শতবর্ষের পুরনো। যুক্তরাষ্ট্রে আনা জারভিস নামের এক নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃ-দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা।
এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
শুধু একদিন দিবসটি পালন করে মাকে ভালোবেশে গেলেই হবে না , মাকে ভালোবাসতে হবে বছরের প্রতিটি দিন প্রতিটি ক্ষণ।