আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুম থেকে সাময়িক জব্দকৃত সাড়ে ১৩ মণ সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।
জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ সোনার কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে না পারার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ৯ টায় সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে এই সোনা আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হবে। বর্তমানে ওই সোনা ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামে রয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা সুত্রে জানা যায়, আপন জুয়েলার্সের ১৩.৫ মণ স্বর্ণের কোন বৈধ কাগজ দেখাতে না পারার কারণে শুল্ক গোয়েন্দা অনুষ্ঠানিকভাবে তা জব্দের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর আইনী প্রক্রিয়ায় জব্দকৃত স্বর্ণ ও ডায়মন্ড শুল্ক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে। শুল্ক গোয়েন্দার ৫টি দল রোববার সকাল থেকে এই জব্দ ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করবেন।
এর আগে গত ১৭মে ও ৩০ মে আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই গোলজার আহমেদ, দিলদার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক গোয়েন্দা।জিজ্ঞাসাবাদে জব্দকৃত সোনার অনুকূলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দলিলাদি দেখাতে পারেননি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। এরপরও তারা নথিপত্র উপস্থাপনে সময় চায় জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ।
আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা কোনপ্রকার বৈধ কাগজ দেখাতে না পরায় শুল্ক গোয়েন্দা আর সময় না দিয়ে ওই সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কোয়ার ও মৌচাকের ৫টি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িকভাবে আটক করে। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়।
তবে আপনের মালিকপক্ষের দেয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয়া হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনেরপার্টিতে আমন্ত্রণ করে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আপন জুয়েলার্সেরমালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধুনাঈম আশরাফ। ৬ মে রাতে ভুক্তভোগীদেরএকজন বনানী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধেনারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপরই শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সে অবৈধ অংলকারের বিরুদ্ধেঅভিযানে নামে।