আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩০ মুসল্লি নিহত হয়েছেন।
ভয়াবহ এ হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহতদের প্রাদেশিক রাজধানী শহর হেরাত সিটির প্রধান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এর আগে প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র জালানি ফারহাদ আলজাজিরাকে জানিয়েছিলেন, নিহতের সংখ্যা ৫০ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া হেরাত থেকে নির্বাচিত আইনপ্রণেতা মেহেদি হাদিদ বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি দেখে তিনি বলেন, এ এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। শতাধিক মরদেহ ও আহত লোকজন পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
হেরাত পুলিশের মুখপাত্র আবদুল আহাদ ওয়ালিজাদা বলেছেন, ‘হেরাত সিটির থার্ড সিকিউরিটি ডিস্ট্রিক্টে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের হাতে আসা তথ্যানুযায়ী, দুজন সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের সুসাইড ভেস্ট পরা ছিল এবং বিস্ফোরণে তিনি নিজেকে উড়িয়ে দেন। অপরজনের কাছে রাইফেল ছিল। উভয়ই নিহত হয়েছেন।’
বুধবার রাতে নামাজের সময় এ হামলা হয়। এ সময় সেখানে প্রায় ৩০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন।
ভয়াবহ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। তালেবান অস্বীকার করেছে এবং জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) মুখ খোলেনি। মঙ্গলবার কাবুলে ইরাকি দূতাবাসের কাছে হামলা চালায় আইএস।
এ হামলার তীব্র নিন্দা করে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে পারবে না।’