উত্তর কোরিয়া আবারও জাপান সাগরে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর সিনপো থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে জাপান সাগরে পড়েছে।
সম্প্রতি ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সবশেষ ঘটনা এটি। উত্তর কোরিয়া দাবি করছে, এটি তাদের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কার্যক্রম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করছে, দূরপাল্লার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরীক্ষা এটি। পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঠিক আগে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র সফরে জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির পরমাণু কার্যক্রমের লাগাম টেনে ধরার উপায় নিয়ে কথা হবে তাদের মধ্যে।
এ ছাড়া দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, চীন পদক্ষেপ না নিলে তারা একাই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। একের পর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়া নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
যেকোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তা ভঙ্গ করে এরই মধ্যে অনেকবার এ-জাতীয় পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। উত্তর কোরিয়ার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাদের হুঁশিয়ার করেছে। কিন্তু কারো কথায় কান না দিয়ে ইচ্ছামতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, আরেকটি মধ্যম পাল্লার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। তাদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেক কথা বলেছে। এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ড জানিয়েছে, এটিকে মধ্যম পাল্লার কেএন-১৫ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মনে হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার এ ঘটনাকে ‘হুমকির নতুন পর্যায়’ বলে উল্লেখ করেছেন।