রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে ২-১ গোলে ইংলিশদের স্বপ্নভঙ্গ করেন পেরিসিচ-মান্দজুচিকরা নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করলো ক্রোয়েশিয়া। আর এ ম্যাচ জয়ের ফলে আগামী ১৫ জুলাই লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ফ্রান্সের মোকাবেলা করবে ১৯৯৮ সালে সেমিফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড কিয়েরান ট্রিপ্পিয়ারের গোলে প্রথমে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ইভান পেরিসিচের শটে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। পরে ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে সেখানে দ্বিতীয় অর্ধে একেবারে শেষ মুহূর্তে মারিও মান্দজুকিচ গোল করলে স্বপ্নের ফাইনালের দেখা পায় ক্রোয়েটরা।
রাশিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ম্যাচটি শুরু হয়।
শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত করে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। কিয়েরান ট্রিপ্পিয়ারের গোলে খেলার মাত্র ৫ মিনিটেই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। ফ্রিকিকের মাধ্যমে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান এই রক্ষণভাগের খেলোয়াড়।
পরে প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। যদিও বল দখলে ইংলিশদের থেকে সামান্য এগিয়ে ছিল ক্রোয়েটরা।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় ক্রোয়েশিয়া। এর ফল পেতেও তারা খুব দেরি করেনি। ইভান পেরিসিচের দুর্দান্ত গোলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানের সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে সিমে ভ্রাসালিকোর লম্বা ক্রস থেকে পা লাগিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই উইঙ্গার।
অবশ্য ম্যাচের নির্ধারিত সময় ও যোগ করা ৩ মিনিটেও ইংল্যান্ড বনাম ক্রোয়েশিয়ার সেমিফাইনালটি ১-১ গোলে সমতা থাকে। ফলে অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিটের বাঁশি বাজান রেফারি।
ইতিহাস তৈরি করতে আরও মরিয়া হয়ে অতিরিক্ত সময়ে খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। আর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় অর্ধে মারিও মান্দজুকিচের গোলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে লিড নেয় ক্রোয়েশিয়া। ১০৯ মিনিটে বাঁদিক থেকে আসা বলে ফ্লিক করে গোল উদযাপন করেন এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই ফাইনাল মঞ্চে পা দেন মদ্রিচ-রাকিটিচরা।