টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৫ ইনিংসের সবগুলোই হয়েছে গেল শতাব্দীতে। ১৮৮৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে। এই সময়কালে টেস্ট ক্রিকেট ২৫, ৩০, ৩৫, ৩৬, ৪২, ৪৩ রানের এক ও তার অধিক সর্বনিম্ন ইনিংসের সাক্ষী হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে ২০১৩ সালে সবশেষ নিউজিল্যান্ড করেছিল ৪৫ রান। সেটা ছিল এই শতাব্দীর সর্বনিম্ন ইনিংস। আজ সেটাকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে।
১৮.৪ ওভার মোকাবেলা করে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। যা এই শতাব্দীতে টেস্টের এক ইনিংসে সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান ছিল ৬২। ২০০৭ সালের ৩ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পি. সারা ওভালে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।
আজ স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৯ মিনিট বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে থাকতে পারেন। বল মোকাবেলা করেন ১১২টি। উইকেট হারান ১০টি। রান তোলেন মাত্র ৪৩টি। যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বনিম্ন সংগ্রহ (যৌথভাবে দশম)।
৪৩ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা যেকোনো দলের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে যেকোনো দলের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। সবচেয়ে কম সময়ে শেষ হওয়া অষ্টম ইনিংস ছিল এটি। বলের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস এটি। ২০১৫ সালে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ১১১ বলে অলআউট হয়েছিল। আজ ১১২ বলেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে কেবল লিটন কুমার দাস ২৫টি রান করেন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। চারজন ব্যাটসম্যান শূন্যরানে আউট হয়েছেন। তার মধ্যে একজন গোল্ডেন ডাক ও দুইজন সিলভার ডাক মেরেছেন। একজন মেরেছেন ব্রোঞ্জ ডাক। রুবেল হোসেন অপরাজিত ৬ রান করেছেন, যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৪টি করে রান করেছেন তামিম ইকবাল ও নুরুল হাসান সোহান। ২ রান করেছেন আবু জায়েদ রাহী। ১টি করে রান করেছেন মুমিনুল হক ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বল হাতে কেমার রোচ ৫ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ৮ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। এরপর ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন। বাকি ৫টি উইকেটের ৩টি নেন মিগুয়েল কামিন্স। ২টি নেন অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার।