লাশের সঙ্গে আসা ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও জোনের লিডার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি তারা হোটেল কর্মী ছিলেন। এর ভেতরে একজন পুরুষ ও একজন নারী। তবে তাদের পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের কোনও ঠিকানাও পাইনি এবং অবিভাবকদের পাওয়া যায়নি।’
জানা গেছে, হোটেলটির ৩০২ নম্বর কক্ষ থেকে দগ্ধ দেহদুটি উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘তাদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমরা তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
উল্লেখ্য, সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে সি শেল হোটেলে আগুন লাগে। পরে তা পাশাপাশি তিনটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট।
আবাসিক সি শেল হোটেল যে ভবনটিতে এই ভবনের মালিক ইসমিয়ারা হানিফ বলেন, ‘আমি ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে চলে আসি। এসে দেখি আগুন জ্বলছে। এরপর থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। সাড়ে ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিস আসে। তৎক্ষণে আগুনে মাজখানের সি শেল ভবন পুরে আমাদেরটিতে লাগছে। এরপর ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আড়াই ঘণ্টা পর আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এ মূহুর্তে বলতে পারবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন নেভানোর সব ব্যবস্থা আমাদের ভবনে ছিল। তবে সেগুলো কেউ ব্যবহার করেনি।’
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘আগুন নেভানোর যে ব্যবস্থা থাকার কথা তা ওই ভবনগুলোতে ছিল না।’
সি শেল রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারের মার্কেটিং ম্যানেজার মো. সোহেল বলেন, ‘আমরা ৫ টার দিকে খবর পেয়েছি। এরপর এসে দেখি ভবর দাউ দাউ করে জ্বলছে। সি শেলের মালিক আমানউল্লাহ নামে একজন ব্যববসায়ী। আমাদের ১৯ বছরের ব্যবসা, সব পুরে ছাই। আগুনে প্রায় একশ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হবে। কোনও কিছু বাঁচানো যায়নি।’