উত্তর কোরিয়ার কারাগারে ১৭ মাস আটক থেকে দেশে ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওটো ওয়ার্মবিয়ারের।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ফেরার পর সিনসিনাটির একটি হাসপাতালে ছিলেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ। তার পরিবার সোমবার দুপুরে ওয়ার্মবিয়ারের মৃত্যুর খবর জানায়।
ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ওয়ার্মবিয়ার একটি পর্যটক দলের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন। সেখানে হোটেল থেকে একটি প্রোপাগান্ডা পোস্টার চুরির অভিযোগে ২০১৬ সালের মার্চে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় উত্তর কোরিয়ার একটি আদালত।
উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ ‘মানবিক কারণে’ মুক্তি দেওয়ার পর গত ১৩ জুন তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়। তখন জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে কোমায় রয়েছেন ওয়ার্মবিয়ার।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ওয়ার্মবিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একটি ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই তিনি কোমায় চলে যান।
কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ায় নির্মম নির্যাতনের কারণেই তাদের ছেলের এই পরিণতি।
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরাও বলেছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ ওয়ার্মবিয়ারের শরীরে তারা পাননি। বরং তার মস্তিষ্কের কোষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।
ওয়ার্মবিয়ারের মৃত্যুর পর এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি আবারও উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, আইনের শাসন আর মানবাধিকারের প্রতি যাদের ন্যূনতম শ্রদ্ধা নেই, তাদের হাতে নিরাপরাধ মানুষের এমন পরিণতি বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে ওয়ার্মবিয়ারের মৃত্যু।