মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করার মানে হলো সময় নষ্ট করা। সেজন্য টিলারসনকে কর্মশক্তি অপচয় না করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, "নিজের কর্মশক্তি সঞ্চয় করো রেক্স, আমরা যা করার তা করবো।" শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনার জন্য উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করুক। উত্তর কোরিয়া গত বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে । গত মাসেই দেশটি ক্ষুদ্রতম হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। এই বোমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর সংযুক্ত করা যাবে। এই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে পিয়ংইয়ং। এরই প্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন সফরে এমনটাই জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে, আলোচনার এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন নাও হতে পারে। রোববার (১ অক্টোবর) এক টুইট বার্তায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, "আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বলেছি, তিনি ক্ষুদ্র রকেট মানবের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করে তাঁর সময় নষ্ট করছেন।" তবে "আমাদের যা করার করবো" এই কথাটি তিনি কেন বলেছেন, কী অর্থে বলেছেন সে বিষয়টি পরিষ্কার করেননি ট্রাম্প। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মন্তব্যের বিপরীতের ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্যে বৈপরিত্য দেখা গেছে। গত অাগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবেলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে প্রস্তুত রয়েছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী দু'দেশের উত্তেজনা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন এই বলে যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ সফল হতে চলেছে।
সূত্র: বিবিসি