পরমাণু কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এবার কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল জাতিসংঘ।
শনিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিতে অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার রপ্তানি বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হারাবে পিয়ংইয়ং। দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগ সীমিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় চরম আঘাত আসতে পারে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে। তবে এর আগেও কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পারমাণবিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা যায়নি বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন বামশাসনের দেশটিকে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, ‘কোনো দেশে এক প্রজন্মের জন্য এটি সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।’
জুলাই মাসে দুটি আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। তাদের দাবি, পুরো যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরমাণু হামলার আওতায়। তবে এ দাবির বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সন্দেহে রয়েছে।
আইসিবিএম পরীক্ষার নিন্দা জানায় দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। তাদের প্রচেষ্টায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব পাশ হলো জাতিসংঘে।
উত্তর কোরিয়া চীনের কাছে কয়লা, আকরিক ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ রপ্তানি করে থাকে। দেশটির রপ্তানি আয় সামান্য, যার অধিকাংশই আসে চীন থেকে। এ ছাড়া আরো কয়েকটি দেশের সঙ্গে সীমিত পরিসরে রপ্তানি বাণিজ্য রয়েছে উত্তর কোরিয়ার।
বছরে ৩ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্য রয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে বছরে রপ্তানিতে ১ বিলিয়ন ডলার হারাবে দেশটি।
এ বছরের শুরুর দিকে পরমাণু কার্যক্রম বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে কয়লা আমদানি বন্ধ করে চীন। তবে কোনো চাপেই মাথা নোয়ানি দেশটি। তারা তাদের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
চীন হলো উত্তর কোরিয়ার স্বীকৃত একমাত্র বন্ধু এবং তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সংকটের দিনে পাশে দেখা যায় চীনকে। কিন্তু এবার চীনও কঠোর মনোভাব দেখাল। এ জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।