চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভায় একদল দুর্বৃত্ত এক ব্যক্তির দোকানে-বাড়িতে হামলা করেছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ওই ব্যক্তির শিশুসন্তান নিহত হয়েছে। আর গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম নীরব (১২)। সে স্থানীয় রহমানিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র এবং পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেজুগালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় আহত মিরাজ উদ্দিনকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলায় আরো আহত হয়েছেন নীরবের মা শেফালী বেগম, একই এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল হক নান্টু ও শাহাদাৎ হোসেন।
এসব তথ্য আজ সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান শিকদার।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুর্বৃত্তরা কিছুদিন আগে মিরাজের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই চাঁদার জন্যই গতকাল রোববার রাতে হাতিয়া পৌরসভার খবির মিয়ার বাজারে মিরাজের দোকানে হামলা চালায়।
হামলায় স্থানীয় রাশেদুল হক নান্টু ও শাহাদাৎ হোসেন আহত হন। দুর্বৃত্তদের ধাওয়া খেয়ে মিরাজ উদ্দিন বাজারের কাছে বেজুগালিয়া গ্রামে তাঁদের নিজ বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরাও পিছু নিয়ে বাড়িতে ঢুকে প্রথমে হামলা ও পরে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।
একপর্যায়ে মিরাজ উদ্দিন গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্ত্রী শেফালী বেগম ও ছেলে নীরব। এ সময় নীরবও গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে আহতদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নীরব মারা যায় বলে জানায় পুলিশ।
হাতিয়া থানার ওসি জানিয়েছেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুতই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্বৃত্তদের ধরার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।