জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক ) অনুমোদন পেল ৮টি উন্নয়ন প্রকল্প। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১৭১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। মঙ্গলবার (০১ অাগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুমোদিত প্রকল্পেরর মধ্যে মংলা হতে চাঁদপুর-মাওয়া- গোয়ালন্দ হয়ে পাকশি পর্যন্ত নৌ-রুটের নব্যতা উন্নয়ন প্রকল্প অন্যতম। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৬ কোটি টাকা। অন্যটির মধ্য বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট, শেওলা, ভোমরা, রামগড় স্থল বন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক ৫৯২ কোটি টাকা দিচ্ছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করবে। অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে-নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। জামালপুর-ধানুয়া কামালপুর- কদমতলা (রৌমারী) জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলাধীন যমুনা নদীর বাম তীরবর্তী কাউলীবাড়ী ব্রিজ হতে শাখারিয়া পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। মেঘনা নদীর ভাঙন হতে চাঁদপুর জেলার হরিণা ফেরিঘাট এবং চরভৈরবী এলাকার কাটাখাল বাজার রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ।