বাস চালক জামির হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় এক চালকের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
কেবল খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় নয়, মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকাল পরিবহন ধর্মঘট কর্মসূচি চলবে বলে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে সোমবার দিনগত রাত সোয়া ১১টায় মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠনের যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বক্স দুদু তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিন সন্ধ্যা ৭টায় খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বিপ্লব বিভাগীয় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও কেন্দ্রীয় কমিটি তা প্রত্যাখ্যান করে।
এর আগে দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় জনস্বার্থে বিভাগীয় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী দু’একটি কোচ ছাড়লেও তা মহাসড়ক ধরে যেতে পারছে না। জিরোপয়েন্ট এলাকায় গেলে শত শত পরিবহন শ্রমিক আটকে দিচ্ছে- ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সোমবার রাত ১১টা ৪১ মিনিটে খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়নি, বিভাগীয় কমিশনারের অনুরোধে শুধুমাত্র খুলনা জেলায় কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বাকি ৯ জেলায় ধর্মঘট চলমান ছিলো। তবে রাত ৯টায় ঢাকায় মালিক সমিতি এবং শ্রমিক নেতাদের কেন্দ্রীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ এই বৈঠকেই দেশব্যাপী ধর্মঘট কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বক্স দুদু বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মঘট প্রত্যাহার সংক্রান্ত আলোচনা চলাকালে খবর আসে, সাভারে সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মামলায় একজন চালককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মালিক-শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে দেশব্যাপী ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত নেন।