মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট । রোবাবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি বোরহান উদ্দীন ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন । গত ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় এমপি রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত । পরে ২৯ অক্টোবর ওই অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয় । গতকাল শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট । এর আগে কয়েক দফায় এমপি রানার জামিন আবেদনও বাতিল হয় । মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন । পরে এ মামলায় এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর পর একই বছরের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রানা। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। এমপি রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।