জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশিবজারে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করবেন। এ মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। রায় ঘিরে আদালত এলাকায় ঘুরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে বসানো হচ্ছে তল্লাশি চৌকি, চলাফেরায় আনা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ।
বকশিবাজার মোড় থেকে উমেশ দত্ত রোড পর্যন্ত এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করলেও আদালতে প্রবেশের রাস্তা দিয়ে প্রতি প্রতিষ্ঠানের একজনের বেশি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
সকালে আদালত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সবাই আইন মেনে চলবো।”
এর আগে সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আদালত এলাকায় প্রবেশ করেন। এ সময় তাকে বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে দাঁড়ানো আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে নানা নির্দেশনা দিতে দেখা যায়। পুলিশ বাহিনীর ‘ভালো করে তল্লাশির’ নির্দেশও দেন কমিশনার।
রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের আশপাশের শাখা গলিতেও জনসাধারণের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। এবং বিভিন্ন বেশ তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরকে আশপাশে অবস্থান করতে দেখা যায়।
আইনশৃঙ্খলা কতোজন সদস্য জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংখ্যা জানাতে অস্বীকার করেন।
পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোর থেকে আমরা এখানে অবস্থান করছি। যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকেই তল্লাশি করা হচ্ছে।”
এদিকে পলাশীর মোড়, আজিমপুর চৌরাস্তা প্রভৃতি জায়গায়ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এলাকায় আদালত প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে এসে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, “সাইবার ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, সেক্ষেত্রে নগরবাসীকে আতঙ্কগ্রস্ত না হতে বলছি।”