পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক বলেছেন, বর্তমান ব্যবস্থায় জঙ্গিরা কারাগারে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে অন্যদেরও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করছে। বাইরের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক এ কথা বলেন। ‘টেররিজম ইন দ্য ওয়েভ অব ইসলামিক স্টেট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে।
জঙ্গিরা এত টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে, জানতে চাইলে শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিদের টাকা দেশে ডাকাতি, লুটপাট থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে এসেছে। ঠিক কোন কোন ব্যক্তি বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছেন, সে বিষয়ে তথ্য তাঁদের কাছে নেই।
শহীদুল হক বলেন, নুরুল ইসলাম মারজান দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। সে গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও অপারেশনাল কমান্ডার। মারজানের মৃত্যু গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার তদন্তে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ, পুলিশের কাছে ‘সব ধরনের তথ্য’ আছে।
নুরুল ইসলাম মারজান ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় গুলশান হামলা-সংক্রান্ত তথ্য পেতে কোনো অসুবিধা হবে কি না, এমন প্রশ্নে শহীদুল হক বলেন, ‘আমাদের কাছে সব ধরনের তথ্য আছে। আমাদের আর কোনো তথ্যের দরকার নেই। সাদ্দাম উত্তরাঞ্চলে সংঘটিত পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত আসামি, আরও পাঁচটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। মারজান ও সাদ্দাম যা যা করেছে, যা যা ঘটনা ঘটেছে—সব তথ্য আমাদের কাছে। মারজান ও সাদ্দাম ঢাকায় ঢোকার চেষ্টা করছিল বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল।’
শহীদুল হক বলেন, গুলশান হামলার পেছনে আরও যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকে নিহত হয়েছেন বা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আনুষ্ঠানিক বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, গুলশান হলি আর্টিজানে হামলার পর পুলিশ ছয়টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছে। প্রতিটি অভিযানেই পুলিশ জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল। কিন্তু জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করেনি। তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশও তখন পাল্টা আক্রমণ করেছে। যারা এসব অভিযানে নিহত হয়েছে, তারা ‘সুইসাইড স্কোয়াড’-এর ছিল।
একই অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারিটা কুলেনারা বলেন, জঙ্গিবাদের সমস্যা থেকে নেদারল্যান্ডসও মুক্ত নয়। জঙ্গিবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে দেশটি সব সময় বিচারব্যবস্থার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের চেষ্টা করে থাকে।