উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার। হ্যাক হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার বিপুল পরিমাণ সামরিক নথি থেকে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে এসব কথা বলছেন রি সউল হি নামে এক দক্ষিণ কোরীয় এমপি।
ফাঁস হওয়া নথিতে দুই কোরিয়ার মধ্যে আকস্মিক যুদ্ধ লেগে গেলে কি করণীয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত নির্দেশনা ছিল বলে দাবি করেন রি সউল। আর তার মধ্যেই রয়েছে কিম জংকে হত্যার মাস্টারপ্ল্যান।
তিনি বলেন, প্রায় ২৩৫ গিগাবাইট সামরিক নথি হ্যাক হয়েছে এবং এসবের ৮০ শতাংশই এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
২০১৭ সালের মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করে দেশটিতে সাইবার হামলা চালিয়েছে পিয়ং ইয়ং। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বলা হয়নি সে সময়। ফলে হ্যাকিং এর ঘটনার সত্যতা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ সার্ভিস সম্প্রতি দাবি করে, সরকারি বিভিন্ন দফতর ও প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের হামলার শিকার হয়েছে। তাদের ধারণা দেশের বাইরে বিশেষ করে চীন থেকে সক্রিয় রয়েছে এসব হ্যাকার।
এদিকে ফাঁস হওয়া তথ্যের ব্যাপারে এখনও কিছু বলতে নারাজ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়াও অস্বীকার করেছে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ। পিয়ংইয়ং এর দাবি, এসব অভিযোগ অতিরঞ্জন ছাড়া কিছুই নয়।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি পিয়ং ইয়ং ওয়াশিংটন উত্তেজনার পারদ প্রায়ই ওঠানামা করছে। ট্রাম্প প্রশাসন শুরু থেকেই পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে কিম জং উন প্রশাসনকে চাপ দিলেও বহির্বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন এই দেশটি তোয়াক্কা করেনি সেসব। বরং গেলো মাসে দ্বিতীয়বারের মতো হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষাও চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।