বিপিএল খেলায় বাজির আসরে বাধা দেওয়ায় ঘটনায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র নাসিম আহমেদ হত্যার ঘটনায় জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলী আহমেদ ফয়জুদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
মামলায় আসিফ নামে এক যুবকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী। ওসি বলেন, শিক্ষার্থী নাসিম হত্যাকাণ্ডে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র জড়িত। তাদেরকে ধরার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বোর্ড ঘরে বাজির আসরে বাধা দেওয়ার সময় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রমজান আলী, আসিফ, শহীদুল, রশিদ, মিলন ও রফিকসহ ১০/১২ জনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এদেরই কেউ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
নাসিম হত্যার পর এলাকার অনেকেই আতঙ্কে আছেন। বিশেষ করে প্রত্যক্ষদর্শী লিমন ঘটনাটি দেখে ফেলায় সেও সন্ত্রাসীদের টার্গেটে রয়েছে বলে জানা গেছে।
লিমন বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে পোস্ট অফিস গলি দিয়ে কাজে যাচ্ছিলাম। দূর থেকে দেখতে পাই মিলন নামের একজন নাসিমকে সমানে ছুরি মারছে। দৌড় দিয়ে তাকে ধরতে পারিনি। ঘটনা দেখে ফেলায় ওরা আমাকেও হুমকি দিচ্ছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে বাড্ডার পোস্ট অফিস গলিতে নিজ বাসার সামনে খুন হন নাসিম আহমেদ (২৩) নামের যুবক। তিনি মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।