শনিবার সন্ধ্যা ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৭ বাংলাদেশ দূতাবাস, কোপেনহেগেন এর স্থায়ী দূতাবাস ভবনটি দেখতে এক খণ্ড বাংলাদেশে রূপ নিয়েছিলো । বাংলাদেশের ৪৭তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে,ডেনমার্কে বসবাসরত নারী –শিশু –যুবা যোগ দিয়েছিলো লাল সবুজের বিজয় মেলায় ।
দুতালয় প্রধান শাকিল শাহরিয়রের সঞ্চালনায় বিজয় দিবসের উপর আলোচনা করেন, মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ থেকে আগত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মোল্লা লিঙ্কন , সাধারন সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শহীদ ও শিল্পী রুহুল আমীন কাজল ।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বিজয় দিবসকে বাঙ্গালী জাতির জীবনে সবচেয়েগৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় নির্দেশনায় লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা একটি জ্ঞান-নির্ভর ও ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাম্প্রতিক সময়েবিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, যিনি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন, তাঁর শততম জন্মবার্ষিকী লগ্নে ২০২১ সালেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে কোপেনহেগেনে অতিসত্ত্বর এমআরপি-এমআরভি সিস্টেম চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ লিঙ্কন মোল্লা বলেন, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের ইতিহাস বলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ করা যাবে না , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু চুয়ান্ন হাজার বর্গ মাইলের এই দেশ, সাড়ে সাত কোটি বাঙালীকে নিয়ে সুখী-সমৃদ্ধি সোনার বাংলার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন ,সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ । জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন । বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায়, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করতে হবে । তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একুশ বছর দেশ বিরোধীরা বাংলাদেশ শোষণ করেছে , আজ বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে অনেক আগেই আমরা মালয়শিয়াকে ছাড়িয়ে যেতাম ।
সভাপতি এম এ লিঙ্কন মোল্লা আরোও বলেন, দলের মধ্যে ভিন্ন মত থাকতে পারে কিন্তু কোন ভাবেই যেন আমাদের মধ্যে বিএনপি জামাত , তারেকের এজেন্টরা ঢুকতে না পারে ।আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন সমস্যা, আমরা বসে ঠিক করবো কিন্তু কোন বহিরাগতরা দলে ঢুকে নিজেদের ক্ষতি করতে না করতে পারে সেদিকে সকলের সজাগ থাকতে হবে । তিনি আরো বলেন , জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ , বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালীর ভাগ্যান্নয়নের জন্য তাকে বেঁচে থাকতে হবে , তাই প্রিয় নেত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর কামনা করে তার জন্য সকলের নিকট দোয়া চান ।
সাধারন সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ বলেন, আমাদের মধ্যে এখন, কে আসলো না আসলো তা নিয়ে সময় নষ্ট করার, সময় আমাদের নেই । তারেক রহমানের টাকা খেয়ে কিছু লোক আমাদের মধ্যে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, যাতে আমরা ওদের নিয়ে ব্যাস্ত থাকি । নির্বাচনের আর এক বছর বাকী সুতরাং এখন শুধু আমাদের নির্বাচন নিয়ে ভাবতে হবে এবং কাজ করতে হবে । জাতীয় দিবস পালনের নামে শুধু খাওয়া- দাওয়া আর শিল্পী এনে গান শুনলেই আওয়ামী লীগার হওয়া যায় না । আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা, শ্রী অনিল দাশ গুপ্তের নির্দেশনা মতো , আগামী নির্বাচনে দলকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডেনমার্কে সফররত পুলিশের ডিআইজি মোঃ মাজহারুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ এর মহাপরিচালক খোরশেদ আলম খাস্তগীর , ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান সায়েদ আলীম, উপদেষ্টা শাহবুদ্দিন ভুইয়া , উপদেষ্টা মাসুদ চৌধুরী ,উপদেষ্টা সৈয়দ মোঃ শোয়েব, উপদেষ্টা মোঃ শফিকুল ইসালাম, সহ সভাপতি আ ন ম আব্দুল খালেক আরিফ, সহ সভাপতি মনোয়ারা বেগম লিলি, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শহীদ ও মোঃ ইসমাইল। ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সামি দাস ও শরীফ তাহের কবীর , সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম খালাসী , সেলিম সারেং ও মন্টু দাস , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শৈবাল মাহমুদ শাহীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খাদিজা খাতুন মিনি , সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসরিন আক্তার মুকুলসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ।
দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত দেশী খাবারের পরিবেশনায় মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ।