মালয়েশিয়ায় দুর্ভোগের শিকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শুধু শ্রমিকরাই নন, হয়রানির শিকার বিভিন্ন পেশার মানুষ। তাদের অভিযোগ, সমস্যায় অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সহায়তা পাওয়া যায়না। তবে প্রবাসীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালেয়শিয়ায় নিযুক্ত শ্রম কাউন্সিলর। এ অবস্থায় সমস্যা সমাধানে হাইকমিশনের তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা কিংবা পর্যটনসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া। প্রতি বছর দেশটির পর্যটন খাতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ১০ ভাগ বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে আসে। তারপরও পদে পদে নানাভাবে অমানবিক হয়রানির শিকার বাংলাদেশিরা।
হয়রানির শুরু মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকেই। বিমান থেকে নেমে দ্রুত গতিতে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে অন্যান্য দেশের নাগরিকরা যার যার গন্তব্যে যেতে পারলেও বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের যেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন অফিসে। সব কিছু ঠিক থাকলেও ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় তাদের। শুধু এখানেই নয় সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গেলে সেখানেও দুর্ভোগের শিকার হতে হয় তাদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, এখানে এতগুলো মানুষ রয়েছে। কিন্তু কোথায়ও বসার কোন ব্যবস্থা নেই। একজন কাছের গেলে সেই আরেকজনের কাছে পাঠান।
আরেকজন জানান, আমি অনেক দেশের দূতাবাসে গিয়েছি। তবে আমার দেশের দূতাবাসে আসলেই কেউ আমাদের মানুষ মনে করে না।
তবে প্রবাসীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সেবার মান বাড়াতে কাজ করছেন বলে দাবি করেন হাইকমিশনের এ কর্মকর্তা।
এ অবস্থায় অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসীদের সমস্যায় হাইকমিশনকে সেবার মনোভাব বাড়ানোর পাশাপাশি আরও তৎপর হতে হবে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন বলেন, মন মানুষিকতার দিক থেকে আমরা সার্ভিস ওরিয়েন্টেড না। যার কারণে আমরা সেবা প্রদানের দিক থেকে যে ধরনের আনুষঙ্গিক থাকার প্রয়োজন সেগুলো তাদের মধ্যে নেই।
তিনি আরও বলে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের আলাদা একটি বিভাগ খোলা উচিত। সেখানে যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা উচিত।
ভ্রমণ, শিক্ষাসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রতিদিন কয়েক'শ বাংলাদেশি মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।