রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়াস সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের কর্মীদের পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় মধ্যরাতে লাগা ভয়াবহ এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এরই মধ্যে চোখের সামনে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে বস্তিবাসীর ঘর-বাড়ি! পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো থেকে এখনও উঠছে ধোঁয়া।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নিভতে আরও ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগতে পারে। আগুনে বস্তিটির ১৫ শতাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আগুন লাগার কারণ তদন্ত শেষে জানা যাবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।
মধ্যরাত থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করেছে স্থানীয়রা। সরু গলির কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আগুন লাগা ঘরগুলিতে পৌঁছাতে না পারায় দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি টেনে নিতে হয় কর্মীদের।
বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটের কড়াইল বস্তির বউবাজারের বড় মসজিদ সংলগ্ন দোতলা একটি বাসায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন লাগার পর প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বাতাসের বেগে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন যাতে না ছড়ায় তাই লাঠিসোঁটা দিয়ে ঘরের টিন ভাঙেন তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাদের চোখের সামনেই পুড়ে যায় বউবাজারের দুই-তৃতীয়াংশ বাড়ি-ঘর।
শুধু বউবাজার নয়, ঝিলপাড়ের একাংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানান ওই স্থানীয় বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মিজানুর রহমান মধ্যরাতে জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পাওয়ামাত্র আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৪ উইনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের আরও কয়েকটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যুক্ত হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বরও কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগে। এতে প্রায় সাড়ে ৪শ’ ঘর ভস্মীভূত হয়। তারও আগে একই বছরের ১৪ মার্চেও রাজধানীর এ বস্তিতে আগুনে পুড়ে যায় অর্ধশত ঘর।