গত ২৪ ঘন্টায় দেশের নদ-নদীর ৭৫টি পয়েন্টে পানি কমেছে। পানি কমছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা নদীর। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়া দেশের প্রায় সব নদ-নদীর পানি কমছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঢাকার চতুর্দিকের নদ-নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত আছে, অপরদিকে মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় অংশে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুনখাওয়া, চিলমারী, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি প্রবাহ হ্রাস অব্যাহত আছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে। দেশের উত্তর অঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির (কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) উন্নতি অব্যাহত থাকবে। পদ্মা নদীর পানি সমতল কমতে শুরু করায় দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের (মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর) নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। বন্যা পুর্বভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৭৫টি পয়েন্টে পানি কমেছে, বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ১৪টি পয়েন্টে। একটি পয়েন্টের আগের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ৯০টি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে বন্যা তথ্য কেন্দ্র। তবে এখনো ১৭টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের বেশকিছু স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ স্টেশনে ৫১ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার, মৌলভীবাজার ও মনু রেলওয়ে ব্রিজে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।