ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করার ঘটনায় তার পরিবারের করা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘দিয়াজের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্তাধীন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে তার সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হল।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে ‘হত্যা’র সুষ্ঠ তদন্তসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলন নামে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ।
তাদের পাঁচ দফা দাবি ছিল, দিয়াজ ইরফান চৌধূরী হত্যার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আদালতের নির্দেশে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, তদন্তের স্বার্থে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে অপসারণ, সকল আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, পূর্বের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বাতিল করে স্বচ্ছতার সঙ্গে নতুন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেশ এবং শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ রক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর ফটক এলাকার নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহ পাওয়া যায়।
ঘটনার দুদিন পর ২৩ নভেম্বর তৈরি করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় আত্মহত্যার ফলে শ্বাসরোধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবার এ প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে দাবি করে আসছিল দিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মরদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের আদালতে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর নামও রয়েছে।