ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দেশীয় পাইপগান, ব্যবহৃত ৪টি গুলি, বড় ও ছোট সাইজের ৪টি ছুরি, ১টি চাপাতি ও ১টি মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত সাবল উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) ভোর ৪টায় ওই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান জুনাব আলীর বাগানবাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকির একই উপজেলার ২ নম্বর বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন: সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সদস্য-সিদ্দিকুর রহমান, মামুন মিয়া, কামরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেন। তারা বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে টহল পুলিশসহ ১৫ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় স্থানীয় জনগণও টের পেয়ে আশপাশে অবস্থান নেয়। পুলিশ ডাকাতদের দিকে এগিয়ে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হলে বাকিরা পালিয়ে যায়। ভোর ৪টার দিকে আহত ডাকাতকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আজাদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, নিহত ডাকাতের প্রথমে পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি সে চিহ্নিত ডাকাত জাকির। তার বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় মাদক ও ডাকাতির ৮টি মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।