রোববার ঢাকার বাজারে মোটা চালের সর্বনিম্ন দর ছিল ৪২ টাকা, সরু চালের সর্বনিম্ন দর ছিল ৫৬ টাকা। উন্নত মানের সরু চালের সর্বোচ্চ দর ছিল ৬৫ টাকা।
এই বছরের মাঝামাঝিতে চালের দরের ঊর্ধ্বগতি সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তখন চাল আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পর দাম কিছুটা কমে।
সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল চালের দাম বাড়ার কারণ ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, “চালের বাজার এখন স্বাভাবিক রয়েছে।”
বাজার সহনীয় করতে আমদানি শুল্ক ২ শতাংশে নামিয়ে আনলেও দেশের কৃষকদের স্বার্থে তা আবার বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী।
“আবার ধানের ফসল ওঠলে চালের আমদানি শুল্ক বসাতে হবে। নাহলে চাল আমদানি হতেই থাকবে, কৃষকেরা ধানের মূল্য পাবেন না।”
চালের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের বাজারও এখন স্থিতিশীল বলে দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য অসাধু আড়ৎদার ও ফড়িয়াদের দায়ী করেন তিনি বলেন, “জনজীবনে হয়রানি সৃষ্টিকারী অসাধু আড়ৎদার ও ফড়িয়াদের সিন্ডিকেট দমন করতে সরকার সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে ওঠতে না পারে সে বিষয়ে কাজ করার জন্য সরকার প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছে।”
খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম সংসদে জানান, দেশে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুদামজাত মজুদের পরিমাণ ৫ দশমিক ৭৭ লাখ টন।
সরকারি পর্যায়ে গুদামে খাদ্যশস্যের ধারণক্ষমতা ২০ দশমিক ২৩ লাখ টন। ধারণ ক্ষমতা ৩০ লাখ টনে উন্নীত করার কাজ চলছে বলে মন্ত্রী জানান।