ইসলামের মূল বাণী দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আলেম ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “জঙ্গিরা ইসলামেরই ক্ষতি করছে। তারা জীবন-যাপনকে কঠিন করে দিচ্ছে। কিন্তু ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম কখনো নিরীহ মানুষ হত্যা সমর্থন করে না।”
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত উলামা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ যেন ইসলামের সঠিক শিক্ষা পায় সে জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম আসলে শান্তির ধর্ম। এখানে জঙ্গিবাদের কোনো ঠাঁই নেই। সৌদি আরবের ইমামদের বক্তব্য জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবে। আপনারা স্ব-স্ব এলাকায় তাদের বক্তব্যে আসা পবিত্র কোরআনের বাণী পৌঁছে দেবেন। ধর্মের নামে যেন কেউ ক্ষতি না করে, জঙ্গি কর্মকাণ্ড না করে।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক অনেক মজবুত অবস্থানে রয়েছে। আজকের দিনে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করছি। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর জাতির পিতা ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের এই ভূ-খণ্ডে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলাম। ইসলামের যে ধর্মীয় শিক্ষা সেটা আমাদের পালন করতে হবে। অন্য ধর্মের মানুষ এখানে বাস করে, তাদের প্রতি আমাদের সম্মান করতে হবে।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ থেকে মদ, জুয়া ও রেস খেলা নিষিদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, ৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা আবার এসবের অনুমতি দেয়।
বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিয়ে তিনি কোরআনে বর্ণিত সুরা কাফেরুনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “সেখানে বলা আছে, লা কুম দিনুকুম ওয়াল ইয়া দিন। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। আমরা সেটাই বিশ্বাস করি।”
দেশে ইসলাম শিক্ষার জন্য আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হজের কার্যক্রম ডিজাটাল করে দিয়েছি। সহজে যাতে হজযাত্রীরা নিবন্ধন করতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে পেরেছি।”
তিনি আবারও জানান, যারা জঙ্গিবাদের পথে চলে গেছে তারা ফিরে এলে তাদের সহযোগিতায় সরকার সব রকমের চেষ্টা করবে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, জঙ্গিবাদ দমনে তার সরকার কোনো ছাড় দেবে না।