আজ বুধবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
তিনি আরো বলেন, নিহতরা হলো- জঙ্গি আব্দুল্লাহ, তার দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই কর্মচারী। আব্দুল্লাহ জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা হিসেবে কাজ করত। ২০০৫ সাল থেকে সে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
বেনজীর আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে পরপর ৩টি বড় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে প্রায় ৫০০ মিটার বেগে বিস্ফোরক পদার্থগুলো চারদিকে ছিটকে পড়ে। এতে ভবনের ৫ম তলার জানালার থাই গ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। মেঝেতে ফাটল তৈরি হয়। ওই ফাটল দিয়ে জঙ্গি আস্তানায় রক্ষিত কেমিক্যাল চতুর্থতলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর ওই কেমিক্যালে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই আগুনে ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহসহ তার দুই সহযোগী, দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানও পুড়ে কয়লা হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, চোখে দেখে নিহতদের কাউকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া তাদের শনাক্ত করা সম্ভব নয়।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ২০০৫ সালে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয় আব্দুল্লাহ। ২০০৮-০৯ সালে জেএমবি ভেঙে তামিম-সারোয়ারের নেতৃত্বে নব্য জেএমবি গঠিত হয়। ওই সময় সে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়।
আব্দুল্লাহর বাসায় নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ে প্রায় সব নেতাই সময় কাটিয়েছেন বলেও জানান র্যাব প্রধান।