ঝিনাইদহ সদরে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে ঘিরে ফেলা বাড়িটিতে কেউ না থাকলেও সেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও কয়েকটি সুইসাইডাল ভেস্ট থাকার কথা জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছানোয়ার বলেন, “পুরো জায়গায় প্রচুর ক্যামিকেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কয়েকটা সুইসাইডাল ভেস্ট দেখা যাচ্ছে। বম্ব ডিসপোজালের সরঞ্জাম ভেতরে নেওয়া হচ্ছে।”
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, দুই কক্ষের টিনের এই বাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ পাঁচ বছর আগে হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করে।
কাউন্টার টেররিজম কর্মকর্তা ছানোয়ার বলেন, “বাড়িটিকে নব্য জেএমবির সদস্যরা বোমা তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করতো।”
এর আগে সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলার তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল ওখানে জঙ্গিরা আছে। সে অনুযায়ী গতকাল আমাদের সদস্যরা সেখানে যায় এবং আজ সন্ধ্যায় আমরা ওই বাসা ঘিরে ফেলি।”
তিনি বলেন, “আমরা অনেকটাই নিশ্চিত যে এখন ওই বাসায় কেউ নেই। তবে সেখনে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক আছে বলে ধারণা করছি।”
শহর থেকে পূর্ব দিকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়ক থেকে দিকে ডানে হাফ কিলোমিটারের মতো গেলে ওই বাড়ির অবস্থান।
ওই বাড়ি ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখে রাতে চারপাশে ভিড় করে উৎসুক জনতা। পৌনে ৯টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জনতাসহ সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়।
শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে অন্তত সাতটি বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর পুলিশ মহাপরিদর্শক শহীদুল হক এ মাসের শুরুতেই বলেছিলেন, এই ধরনের আরও জঙ্গি আস্তানা দেশে রয়েছে।