যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত টুইট বার্তা নিয়ে কংগ্রেসের অনেক সদস্যই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এফবিআইর বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কতগুলো ক্রুদ্ধ টুইট বার্তা পোস্ট করেন। তিনি দাবি করেন, এই সংস্থার সুনাম এখন, তার ভাষায়, ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে যখন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার-এর তদন্ত চলছে তখনই ট্রাম্পের এমন আক্রমণাত্মক টুইট এলো। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের ব্যাপারে তদন্ত বন্ধ করতে সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে নির্দেশ দেয়ার অভিযোগও ট্রাম্প অস্বীকার করেন। রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে এফবিআই-এর কাছে মিথ্যে কথা বলার দায়ে ফ্লিনকে বরখাস্ত করা হয়। নির্বাচনে জয়ী করতে রুশ যোগাযোগের কথা বরাবরই নাকচ করে আসছেন ডোনাল্ট ট্রাম্প। রোববারও (৩ ডিসেম্বর) একগাদা টুইট করেন মি ট্রাম্প এবং আবারো তার সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে আক্রমণ করে লেখেন। আরেকটি টুইটে তিনি এবিসি নিউজের তীব্র সমালোচনা করেছেন তাদের রিপোর্টের এক ভুলের সূত্র ধরে। তবে সামাজিক মাধ্যমে মিস্টার ট্রাম্পের এহেন লেখালেখি নিয়ে অনেক ডেমোক্রেট সদস্য মনে করছেন, এর ফলে তদন্ত বা ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবিরেও তার টুইট বার্তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, টুইট করা নিয়ে ট্রাম্পের আরও বেশি সতর্ক হওয়া দরকার। সূত্র: বিবিসি বাংলা