যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০০৫ সালের আয়কর রিটার্ন ফাঁস হয়েছে।
২০০৫ সালে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ের ওপর ৩৮ মিলিয়ন ডলার আয়কর দেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম এমএসএনবিসি ট্রাম্পের দুই পৃষ্ঠার আয়কর দাখিলের নথি প্রকাশ করেছে। তবে এ ফাঁসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, এভাবে ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন ফাঁস করা অবৈধ।
নির্বাচনী প্রচারের সময় আয়করের তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের প্রথা ভাঙেন তিনি। কারণ নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা তাদের আয়কর দাখিলের তথ্য প্রকাশ করে থাকেন।
এমএসএনবিসির ফাঁস করা দুই পৃষ্ঠা ট্রাম্পের মোট আয়কর তথ্যের খণ্ডিত অংশ। এতে ট্রাম্পের আয়করের বিস্তারিত তথ্য নেই।
আংশিক হলেও ট্রাম্পের আয়কর তথ্য ফাঁসের ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, তার আয়কর সম্পর্কে খুব অল্প তথ্যই জানা যায়। নতুন এই তথ্য ফাঁসের ফলে ট্রাম্পের ওপর আয়করের পুরো তথ্য প্রকাশের চাপ বাড়াবে।
কেন্দ্রীয় আয়করের তথ্য ফাঁস যদিও অপরাধ বলে গণ্য, তবে এমএসএনবিসির র্যাচেল মাডৌ জানিয়েছেন, জনস্বার্থে তারা ট্রাম্পের আয়করের তথ্য ফাঁস করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী, জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করা যায়।
এদিকে, এমএসএনবিসি ট্যাক্স রিটার্নের আংশিক তথ্য ফাঁসের পর ট্রাম্পের ২০০৫ সালের ট্যাক্স রিটার্নের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। নির্মাণ খাত থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার আয়কর দেওয়া ছাড়া বিপণন, আবগারি শুল্ক ও সংস্থাপন কর বাবদ কয়েক হাজার ডলার দিয়েছেন তিনি।
এমএসএনবিসির আয়কর তথ্য ফাঁসের বিষয়ে হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘আপনারা রেটিং বাড়াতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এক দশকেরও আগের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের দুই পৃষ্ঠার তথ্য আইন অমান্য করে ফাঁস করেছেন আপনারা।’