যুক্তরাষ্ট্র বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরো বিস্তৃত করেছে। নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উত্তর কোরিয়া, চাদ ও ভেনেজুয়েলাকে।
বিভিন্ন দেশের সরকারের সরবরাহ করা তথ্য পর্যালোচনা করে এ নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে কেবল সে দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। অবশ্য যাদের ভিসার মেয়াদ এর বেশি সময় পর্যন্ত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে না।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার এ বিষয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এ বিষয়ে একটি টুইট করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকাকে নিরাপদ রাখতে এটি তার প্রথম অগ্রাধিকার।
ট্রাম্প লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখার বিষয়টি আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। যাদের আমরা পুরোপুরি নিরাপদ বিবেচনা করতে পারি না আমাদের দেশে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেব না।’
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ওই তিন দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার কারণ হিসেবে হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে সহযোগিতা করছে না উত্তর কোরিয়া। তাই দেশটির নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
চাদ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসসম্পর্কিত এবং অন্যান্য তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রয়োজন মতো দেশটি সরবরাহ করছে না। এ কারণে চাদের নাগরিকদের ব্যবসায়িক এবং পর্যটন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। আর ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির সরকার তথ্য প্রদানে সহযোগিতা না করার কথা বলেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে ছয়টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তখন এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। দেশগুলো হলো- ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান ও সোমালিয়া।
তবে রোববারের আদেশে সুদানের নাগরিকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া ইরাকের নাগরিকদের ওপর সরসারি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের কঠোর নিরাপত্তা ও জটিল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।