ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥
ঝিনাইদহের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ড.এম হারুন অর রশীদ আওয়ামী লীগে যোগদান করতে যাচ্ছেন। আগামী ১ মার্চ জেলা ও ৬ উপজেলার প্রায় দুই হাজার কর্মী বাহিনী নিয়ে যোগদান করবেন। এ খবরে আওয়ামী লীগের নেতা-কমীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। দেশের অন্যতম বে-সরকারী সংস্থা সৃজনী বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড.এম হারুন অর রশীদ এর সারা দেশে একটি পরিচিতি রয়েছে। তিনি স্থানীয় দৈনিক বীরদর্পণের প্রকাশক ও সম্পাদক। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সমাজ সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত আছেন। সৃজনী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি দেশের কয়েক হাজার শিক্ষিত ছেলে মেয়েকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনীতির সাথেও জড়িত আছেন। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগে যোগদানের মধ্যদিয়ে তিনি দেশ সেবার আরো সুযোগ পাবেন। তাঁর আওয়ামী লীগে যোগদান নিয়ে সারা ঝিনাইদহ জুড়ে মানুষের মাঝে চলছে আলোচনা। অনেকের প্রত্যাশা ড.হারুন অর রশীদ বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করায় দল আরো শক্তিশালী হবে। তিনি জাতীয় পার্টির মধ্যদিয়ে তাঁর রাজনীতি যাত্রা শুরু করেন। আওয়ামী যোগদানের পর তিনি মানুষের সেবায় আরো বেশী আত্মনিয়োগ করবেন। তার সাথে রয়েছেন ৬ উপজেলার জাতীয় পার্টির কয়েক হাজার নিবেদিত প্রাণ কর্মী বাহিনী। তারাও তাঁর সাথে আওয়ামী লীগে যোগদান করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ ছাড়া একই সাথে বিএনপি ও বিভিন্ন দল থেকে এদিনে আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন।ঝিনাইদহ জেলায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড.হারুন বলিষ্ঠ ভমিকা রাখবেন। সেই সাথে চেষ্টা করবেন জেলার ৪টি আসনই আওয়ামী লীগের দখলে রাখতে। পরিশ্রমী এই মানুষটি দলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন। কিছু পাওয়ার জন্য নয়, দেবার জন্যই তিনি আওয়ামী লীগে আসেছেন। বর্তমানে তার যে সামাজিক অবস্থান তাতে চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। এখন তার একমাত্র আশা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে দেশ ও দশের সেবা করা। এই যোগদানের মধ্যদিয়ে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে চান। এ ব্যাপারে ড.হারুন জানান, ঈর্ষা পরায়ন হয়ে জামায়াত, বিএনপির কিছু রাজনৈতিক ও স্বার্থপরায়ন লোক নানান কথা বলে বেড়াচ্ছেন। যারা কখনো চাইনা আওয়ামী লীগ আরো শক্তিশালী হোক। তিনি তাদের মুখে চুন-কালী দিয়ে আওয়ামী লীগের যোগদান করে মানুষের সেবার মধ্যদিয়েই প্রমান করতে চান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখতেন তার অনেকটা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তোলার দায়িত্ব পড়েছে। তিনি সাফল্যের সাথে সেই দায়িত্ব পালন করেও যাচ্ছেন। তাঁর দলের একজন কর্মী হিসাবে যোগদান করতে পারা আমার জন্য গৌরবের বিষয় বলে আমি মনে প্রাণে ধারণ করি। তিনি ঝিনাইদহবাসির দোয়া কামনা করেন।