বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ তে যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সর্ম্পূণ রোবট সোফিয়াকে নিয়ে সোরগোল তখন ঠিক তার পাশের প্যাভিলিওনে ও-লেভেল পড়ুয়া তিন ছাত্রের আবিষ্কার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্ম্পূণ রোবট নিয়ে মেলায় এসেছে।
নাজমুল সাকিব, জান্নাতুল সাইফ ও সাইফুর রহমান তিন বন্ধুর আবিষ্কার এই রোবট। বিস্ময়কর এই রোবটটির নাম তারা দিয়েছেন “বন্ধু”।
রোবটটি প্রশ্ন গ্রহণ ও উত্তর দেয় সোফিয়ার চেয়ে কম সময়ে।শুধু তাই নয় “বন্ধু” উত্তর দেয় ইংরেজী ও বাংলায়।এই রোবটটির সামনে একটি মুঠোফোন রয়েছে যা খুব সহজেই প্রশ্ন কর্তার ছবি নিতে পারে সহজেই।
“বন্ধু” রোবটটির উদ্ভাবক নাজমুল সাবিক বলেন, তাদের এই রোবটটি বিভিন্ন প্রশ্ন ফেইজ করতে পারে,উত্তর দিতে পারে, প্রশ্নটি শুনে বুজতে পারে,তার যদি কোনো তথ্য জানতে জানতে চায় সে তথ্যের উত্তর সে দিতে পারবে, তার কাছে যদি সে উত্তর নাও থাকে সে গুগল থেকে সার্চ দিয়ে খুঁজে আপনাকে জানাবে।
আবিষ্কারদের গল্পটা একটু ভিন্ন, চালক বিহীণ গাড়ির কথা শুনে তাদের মাথায় ভূত ধরে।এর মধ্যে ২ বছর চেষ্টা, এরমধ্যে সোফিয়ার আবিষ্কার তাদের উৎসাহ আরোও বাড়িয়ে দেয়। অবশেষে তাদের সাফল্য আসে। আর তারা নিজ উদ্দ্যোগে তৈরি করে ফেলেন “বন্ধু” রোবট।
“বন্ধু” কে তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে মাতর ২৫ হাজার টাকা। আবিষ্কারকরা জানান আরোও পৃষ্টপোষকতা পেলেন এই রোবটটিকে আরোও উন্নত করা সম্ভব।
“বন্ধু” রোবটটির উদ্ভাবক নাজমুল সাবিক আরোও বলেন, আমরা আরোও এডভান্স করতে সক্ষম, আর আমরা অনেকক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেছি। এবং রোবটটা প্রতি নিয়তই নতুন নতুন জিনিস শিখছে তার চারপাশ থেকে। ইটস লাইক এ লার্নিং রোবট। আমরা এটাকে সোফিয়ার মত আধুনিক আর্টিফিসাল ইন্টিলিজেন্ট করা সম্ভব।এটার জন্য কিছু হেল্পার প্রয়োজন।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ এর প্রথম দিনে ছিলো সোফিয়াকে এক নজর দেখার উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই সোফিয়া দেখতে না পেরে হতাশা নিয়েই বাড়ী ফিরেছেন। তবে সোফিয়ার মত বাংলাদেশের আবিষ্কার দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। ব্যাপক প্রচারণায় সোফিয়ার কথা সবাই জানলেও শুধু প্রচারণার অভাবে অনেকেই জানে বাংলাদেশের আবিষ্কার রোবটের কথা। দেশের প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে সরকারী পৃষ্টপোষকতা সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন বলে মনে করেন “বন্ধু” রোবট আবিষ্কারকরা।