সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে শনিবার সামিরক অভিযান চালানোর সময় সিরীয় কুর্দি যোদ্ধারা গুলি করে তুরস্কের একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করায় দুই তুর্কি সেনা নিহত হন।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম গতকাল এক টেলিভিশন ভাষণে দুই সেনা নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের কাছে একটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। শনিবার ইস্তাম্বুলে তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা ঘটবে, কারণ আমরা যুদ্ধে আছি... আমারা একটি সামরিক হেলিকপ্টার হারাতে পারি কিন্তু এজন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।’
সামরিক বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১টার দিকে ‘এটিএকে’ হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। কুর্দিযোদ্ধাদের সংগঠন ওয়াইপিজের মুখপাত্র মুস্তাফা বালি বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, সিরিয়ার আফরিন শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজু এলাকায় তাদের যোদারা হেলিকপ্টারটি গুলি করে মাটিতে নামায়।
গত মাসে তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের ওপারে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর মাধ্যমে বহুপক্ষীয় সিরিয়া গৃহযুদ্ধে একটি নতুন ফ্রন্ট খুলেছে তুরস্ক। সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সমর্থনে থাকা ওয়াইপিজে দেশটির একটি বিশাল উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ওয়াইপিজে-কে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি সম্প্রসারিত সশস্ত্র শাখা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে তুরস্ক। পিকেকে তুরস্কে কুর্দিদের জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠায় কয়েক দশক ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। কিন্তু তুরস্কের কাছে তারা নিষিদ্ধ।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহর থেকে আলজাজিরার জামাল এলশায়াল এক খবরে বলেছেন, দিন দিন পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। তিনি জানান, অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২০ তুর্কি সেনা ও ওয়াইপিজের ১৫০ শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ অভিযানের সময় তুরস্কের সাত বেসামরিক লোকও নিহত হয়েছেন।