সরকারের অর্থ বিভাগের অধীনে দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অতিরিক্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল’ বা ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন তহবিল’ গঠন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
একইসঙ্গে দক্ষতা উন্নয়নসংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ’/‘দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগ’ নামের একটি নতুন বিভাগ অথবা ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনএসডিএ) নামের একটি আইনি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়াও জাতীয় ওষুধ নীতি ২০১৬-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যেকোনো ওষুধ তৈরি ও বিক্রয় করতে হলে নিবন্ধন করতে হবে, ওষুধ আমদানি করতে হলে নিবন্ধন করতে হবে, জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব খসড়ায় করা হয়েছে। এর লক্ষ্যে হলো নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি ও বিপণন রোধ করা।
খসড়ায় বলা হয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইনে শাস্তি নির্ধারণ করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। জনস্বার্থে দাম নির্ধারণ করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কেউ বেশি দাম নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিশ্বের ১২২টি বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সদন ও স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের ওষুধ। তিনি বলেন, প্রায় ১১ বছর পর আন্তর্জাতিক চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিমালাটি যুগোপযোগী করা হয়েছে।
আজকের বৈঠকে নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন এবং কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।