অনেক তর্ক-বিতর্কের মধ্যেও বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে টহল দেয়া শুরু করেছে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি আধুনিক বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই টহলকে নিয়মিত কর্মপরিকল্পনা অংশ হিসেবে আখ্যা দিলেও উদ্বেগে আছে চীন। বিবিসি।
গত শনিবার থেকেই মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে টহল দেয়া শুরু করেছে মার্কিন রণতরী। এর আগে গত বুধবার দক্ষিণ চীন সাগরে ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পদক্ষেপ হবে চীনের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ এমন সতর্কবানী উচ্চারণ করেছিল চীন। যদিও ওই সতর্কতা সত্ত্বেও মাত্র তিনদিনের মাথায় রণতরী মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্য এর আগেও ইউএসএস কার্ল ভিনসন চীন সাগরে মহড়া দিয়েছিল। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ওই মহড়ার সংখ্যা সীমিত করা হয়েছিল চীনের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর জন্য। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার আগেই চীনা বিরোধী যে অবস্থান নিয়েছিলেন তারই প্রতিফলন হিসেবে এই রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন।
বিগত কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত কিছু ডুবো ভূমি নিয়ে এশিয়ার ছয়টি দেশের মধ্যে বিবদমান পরিস্থিতি চলে আসছে। তবে সর্বশেষ ফিলিপাইন বিতর্কিত ভূমি প্রশ্নে চীনের সঙ্গে আপস করার প্রেক্ষিতে ওই ভূমিতে সামরিক স্থাপনা মোতায়েন শুরু করে চীন। আর ওই সামরিক স্থাপনা নিয়েই বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিতর্কিত ভূমি মালিকানা প্রশ্নে চীনের এই পদেক্ষপ আঞ্চলিক সদ্ভাব নষ্ট করবে এবং সাগরে স্বাভাবিক নৌ চলাচল ব্যহত হবে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও যুক্তরাষ্ট্রও ভূমধ্যসাগরে নিজেদের স্থাপনা বসিয়ে সাগর শাসন করে আসছে বহু বছর।