গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুরে মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো ৩ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফলে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩।
মঙ্গলবার রাত ৭ টার দিকে বয়লার বিস্ফোরণস্থল থেকে আরো তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। তবে উদ্ধার হওয়া তিন ব্যক্তিদের নাম- পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর আগে মঙ্গবারবার সকালে একটি এবং সোমবার রাতে আটটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সোমবার রাতে মারা যান আরো একজন।
এ দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মাগুরার শালিখা থানার গোবরা গ্রামের আইয়ুর আলী সর্দারের ছেলে কারখানার ফায়ারম্যান আল আমিন হোসেন (৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার কুন্ডা গ্রামের সাগর আলী মীরের ছেলে কারখানার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, রাজবাড়ির গোয়ালন্দ থানার চরকাসনন্দ এলাকার মনিন্দ্র নাথের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র শীল, বগুড়ার সোনাতলা থানার নামাজখালি গ্রামের শাহার আলীর ছেলে কারখানার বয়লার অপারেটর মাহবুবুর রহমান।
চট্টগ্রামের মীরসরাই থানার বনসুন্দর গ্রামের কারখানার বয়লার ইনচার্জ আব্দুস ছালাম, চাঁদপুর সদরের মদনা গ্রামের বাচ্চু ছৈয়ালের ছেলে গিয়াস উদ্দিন ছৈয়াল, চট্টগ্রামের কাটাছাড়া বঙ্গনুর গ্রামের লুৎফুল হকের ছেলে মুনসুরুল হক, মীরসরাই থানার ইচাখালি গ্রামের মৃত নূরুল মোস্তফা চৌধুরীল ছেলে আরশাদ হোসেন চৌধুরী, নওগাঁ জেলা সদরের চকরামপুর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আমিরুজ্জামান, বগুড়ার গাবতলী থানার মরিয়া গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে সোলাইমান। আহতবাস্থায় সোলাইমান মারা যান ঢামেক হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত সোয়া ৭টার দিকে কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকার মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পথচারীসহ অর্ধশতাধিত আহতও হয়েছে। তাদের গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে ভর্তি এবং চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।