নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন, র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক কোম্পানি কমান্ডার মেজর এম আরিফ হোসেন ও সাবেক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কতিপয় সদস্যের কারণে সামগ্রিকভাবে গোটা বাহিনীকে দায়ী করা যায় না।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হল : নূর হোসেন, তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানা ছাড়াও অন্য আসামি হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, আরওজি-১ মো. আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক মো. বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব আলী, সিপাহি মো. শিহাবউদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলিম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল-আমিন শরীফ ও সৈনিক তাজুল ইসলামকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে শেষের তিনজন পলাতক।
যাবজ্জীবন : হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবির, নূর হোসেনের সহযোগী আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান, রহম আলী, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান চার্চিল, সেলিম, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, শাহজাহান ও জামালউদ্দিন। এর মধ্যে সানাউল্লাহ ও শাহজাহান পলাতক। সেলিম ভারতের কারাগারে বন্দি। এ ছাড়া বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে সাতজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড রয়েছে। তারা হলেন-করপোরাল রুহুল আমিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক নুরুজ্জামান, সিপাহি বাবুল হাসান, পলাতক করপোরাল মোখলেছুর রহমান, পলাতক এএসআই কামাল হোসেন ও সিপাহি হাবিবুর রহমান। অন্যদিকে এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিনের সাত বছর করে কারাদণ্ড হয় নিম্ন আদালতে, তা হাইকোর্টে বহাল রয়েছে।
গোটা বাহিনী দায়ী নয় : হাইকোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, আসামিরা যে ধরনের অপরাধ করেছেন, যদি তারা ছাড়া পেয়ে যান, তাহলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থার সঙ্কট দেখা দেবে। র্যাব রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিশেষ বাহিনী। তারা অভিজাত বাহিনী। তাদের প্রতি এখনও মানুষের বিশ্বাস আছে। তাদের দায়িত্ব হল জনগণের জানমাল রক্ষা করা। নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া। অথচ র্যাবের মতো এলিট বাহিনীর কিছু সদস্য বিপথগামী হয়েছেন। তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। এই বিপথগামী সদস্যের জগণ্য কর্মকাণ্ডের ফলে সাত খুনের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ফলে অপরাধী সদস্যদের বিচার হয়েছে। তবে কতিপয় সদস্যের কারণে সামগ্রিকভাবে গোটা বাহিনীকে দায়ী করা যায় না।
রায় পড়া হয় যেভাবে : আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ২৬ জুলাই একই বেঞ্চ রায়ের জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য রেখেছিলেন। তবে সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় গতকাল রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় রায় পড়া শুরু করেন সিনিয়র বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ। তাকে সহায়তা করেন কনিষ্ঠ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম। এ সময় এজলাস কক্ষে আইনজীবী ও বাদী-বিবাদীপক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিল। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এজলাসের আশপাশে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা ছিল। এক পর্যায়ে আইন-আদালত বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম ও সিনিয়র সাংবাদিকরা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে গণমাধ্যম কর্মীরা আদালত কক্ষে প্রবেশ করতে পারেন। তবে সিনিয়র বিচারপতি অতি নিচু স্বরে রায় ঘোষণা করায় রায়ের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারছিলেন না আসামি-বাদীপক্ষের লোকজন। অবশ্য রায়ের শেষ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মাইক্রোফোন চালু করে বিচারপতিদের কাছে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের নাম জানতে চান। তখন সিনিয়র বিচারপতি একে একে ১৫ জনের নাম ঘোষণা করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার কিছু আগে রায় পড়া শেষ হয়। রায় পড়ায় সময় রাষ্ট্রের প্রধান কৌঁসুলি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল ও আবদুল হান্নান মোহন উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম মনসুরুল হক চৌধুরী, এসএম শাহজাহান, এম আমিনুল ইসলাম এবং এসআরএম লুত্ফর রহমান আকন্দ।
‘দ্রুত দণ্ড কার্যকর চাই’ : নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি রায়ের পর তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, আসামিরা যে ধরনের অপকর্ম করেছে সেসব অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগেও এই রায় বহাল থাকবে ও দ্রুত দণ্ড কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
‘ন্যায়বিচার হয়নি’ : আসামিপক্ষ দাবি করছে, তারা হাইকোর্টে ন্যায়বিচার পায়নি। এ বিষয়ে প্রধান আসামি নূর হোসেনের কৌঁসুলি লুত্ফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করব। রায়ের কপি পাওয়ার আগেই আমরা আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করব। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা তারেক সাঈদ ও সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া রহম আলীর আইনজীবী একেএম ফজলুল হক খান ফরিদও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
আইনজীবী এসএম শাহজাহান বলেন, আমরা হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেছিলাম। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যে গরমিল ছিল, সেটাও আমরা যুক্তিতে এনেছিলাম। কিন্তু হাইকোর্ট সেসব বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে রায় দিয়েছেন। আমরা আপিল বিভাগে আপিল করব।
সাজা দৃষ্টান্তমূলক : অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের রায়কে দৃষ্টান্তমূলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে হাইকোর্ট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এটাকে একটা দৃষ্টান্তমূলক রায়ই বলব আমি। আমরা স্বস্তি অনুভব করছি। তিনি বলেন, এই মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে যেটা দেখতে পাচ্ছি, মূল হোতা যে চারজন ছিলেন-তারা ছাড়া মেজর আরিফের টিমে যারা ছিলেন-মাইক্রোবাসে... তাদের সবারই ফাঁসি হয়েছে। বস্তা তৈরিতে, ইট জোগাড় করতে অর্থাৎ বালুর বস্তা তৈরি করে তাতে লাশ নদীতে তলিয়ে দেওয়ার টিমে ছিলেন... ছয়জনের মধ্যে তিনজনের ফাঁসি হয়েছে। একজনের হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুজনের সাত বছরের জেল। নূর হোসেনের টিমে যারা ছিলেন-তাদের সবারই যাবজ্জীবন হয়েছে, নূর হোসেন ছাড়া। রানার টিমে যারা ছিলেন-তাদের সাতজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেকজন ইনজেকশন জোগাড় করে দিয়েছিলেন, তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ১১ জনের সাজা কমানোর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, তা তিনি পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, অপরাধ যেকোনো লোক করতে পারে-সেটা বাহিনী হোক কিংবা উচ্চপদে আসীন কোনো ব্যক্তি হোক। কতিপয় অপরাধীর জন্য কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা ঠিক হবে না।
খুন হয়েছে সাত পরিবার : হাইকোর্টে রায় পড়ার সময় আদালতের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন খুনের শিকার তাজুল ইসলামের ভাই মো. রাজু। তিনি জানান, সাত খুন মানে শুধু সাতটি মানুষ খুন নয়, সাতটি পরিবারও খুন। তার ভাই তাজুল ইসলাম প্রকৌশলবিদ্যা শিখেছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মেরামতের কাজ করতেন। বাড়ির বড় ছেলে হিসেবে তিনিই মূলত সংসারের খরচ সামলাতেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে খুন হন তিনি। তার মৃত্যুতে পুরো পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসে। এভাবেই নজরুল ইসলাম, চন্দন সরকারসহ সাত পরিবারে দুর্দশা ঘনিয়ে আসে।
‘সব দোষ মিডিয়ার’ : মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি নূর হোসেনের ভাই নূর উদ্দিন বলেছেন, নূর হোসেনের বর্তমান পরিণতির জন্য মিডিয়া দায়ী। গতকাল রায় ঘোষণার সময় হাইকোর্টের বারান্দায় নূর উদ্দিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ছয় ভাইয়ের মধ্যে নূর হোসেনের পরই নূর উদ্দিনের অবস্থান। নূর হোসেনের ফেলে আসা সাম্রাজ্য এখন নূর উদ্দিন নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। সেই নূর উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আসলে মিডিয়ার কারণেই এমন হল। আপনি আবার মাইন্ড কইরেন না। তার মতে, মিডিয়ার চাপে সাত খুন মামলা তাড়াতাড়ি এগিয়েছে। এ কারণে তারা ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারেননি। তারা নিম্ন আদালতে আইনজীবী দেওয়ার আগেই বিচার শুরু হয়ে যায়। আপিল বিভাগের আপিলে তার ভাই ছাড়া পাবেন। তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
অপহরণ থেকে হত্যা : ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের লিঙ্ক রোডের লামাপাড়া এলাকায় র্যাব-১১-এর সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তত্কালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুলের গাড়ি থামায়। র্যাব গাড়ি থেকে নজরুল, তার তিন সহযোগী ও গাড়িচালককে তুলে নিয়ে যায়। এ সময়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন আইনজীবী চন্দন সরকার। তিনি অপহরণের বিষয়টি দেখে ফেলায় তাকে ও তার গাড়িচালককেও র্যাব তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের সবাইকে হত্যা করে ওই রাতেই পেট কেটে এবং ইটের বস্তা বেঁধে সবার লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ৩০ এপ্রিল ছয়জনের লাশ পাওয়া যায়। পরের দিন আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়। অন্য নিহতরা হলেন-নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহিম। এক সপ্তাহের মধ্যে এ ঘটনায় র্যাব-১১-এর অধিনায়ক তারেক সাঈদসহ তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার যুক্ত থাকার তথ্য প্রকাশ পায়, টাকার বিনিময়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। একসঙ্গে সাতজনকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যার ঘটনায় দেশের মানুষ শিউরে ওঠে। তারেক সাঈদ ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা হওয়ায় বিষয়টি ভিন্নতা পায়। একই সময়ে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত নূর হোসেনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমানের একটি টেলিকথোপকথন প্রকাশ পায়। যাতে নূর হোসেন ভারতে পালাতে শামীম ওসমানের সহায়তা চান। এরপর নূর হোসেন পালিয়ে যায় ভারতে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা আন্দোলনে নামেন। তখন ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন চন্দনের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ। আদালতে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ৩৫ আসামির মধ্যে ২৫ জনই ছিল সশস্ত্র এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য। গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম মাসুদ রানাসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দেন। ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এরপর নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে ডেথ রেফারেন্সের নথি আসে হাইকোর্টে। পরে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করে।