রাজধানীতে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ১ হাজার ১৭৪টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। কোরবানির পশু যত্রতত্র জবাইয়ের কারণে পরিবেশ দূষণ এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২৫টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৪৯টি স্থান। এসব স্থানে স্থানগুলোয় পশু কোরবানি দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় আড়াই লাখের বেশি পশু কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করছেন করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর শফিকুল আলম। তিনি বলেন, জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানগুলোতে একজন করে ইমাম এবং একজন প্রশিক্ষিত কসাই থাকবেন। সেখানে প্যান্ডেল করে দিব। পানির ব্যবস্থাও থাকবে। এই স্থানগুলোর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলের নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, পশু কোরবানির জন্য তার এলাকায় ৪টি স্থান। তবে এসব জায়গায় মানুষ আসতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গত বছরও করেছি। কিন্তু লোকজন তেমন একটা আসতে চায় না। এবার আমরা ভলান্টিয়ার দিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা আনায় নজর দিচ্ছি।’ নির্ধারিত স্থানগুলোর বাইরেও যে পশু কোরবানি হবে, তা স্বীকার করে নেন সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শফিকুল। তিনি বলেন, এত লোককে এসব স্থানে জায়গা দেয়া যেমন সম্ভব নয়, আবার সবাই আসবেও না। যারা না আসবে, তারা যেন বাড়িতে কোরবানি করার পরও বর্জ্যটা আমাদের নির্ধারিত জায়গায় ফেলে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারিধারা, কালাচাঁদপুর, নর্দ্দা, শাহজাদপুর, বারিধারা জে ব্লক এলাকায় ৫টি স্থানে প্যান্ডেল তৈরি দেখা গেছে।