রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। আজ বৃহস্পতির ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শফিউল আজম এ অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই ধর্ষণ মামলার বিচার কাজ শুরু হলো। আদালত এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
এই মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। বেলা পৌনে ১১টার দিকে আসামিদের আদালত এজলাসে আনা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
এর আগে এই মামলার পাঁচ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তার আগে তাঁদের আইনজীবীরা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করলে তা খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে ৯ জুলাই এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওই দিন শুনানির জন্য কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় পাঁচ আসামিকে। আসামিপক্ষ আদালতের কাছে সময়ের আবেদন জানায়। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজম এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ ও তাঁর বন্ধু নাঈম আশরাফ। গত ৮ জুন শাফাত আহমেদ, তাঁর বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অপর তিনজন আসামি হলেন শাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও তাঁর দেহরক্ষী রহমত আলী। ঘটনার ৪০ দিন পর দুই তরুণী বনানী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে তাঁদের হয়রানি করে পুলিশ। এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে হইচই পড়ে যায়।
এর আগে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন, তা সবিস্তারে আদালতে বলেছেন শাফাত আহমেদ। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে শাফাত বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর ভয় পেয়ে তিনি তাঁর বন্ধু সাদমান সাকিফকে ফোন করেন। পরে তিনি এই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। তাতে উল্লেখ করেন, স্বেচ্ছায় তিনি জবানবন্দি দেননি। ভয় ও চাপের মুখে দোষ স্বীকারে বাধ্য হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। একইভাবে নাঈম আশরাফও আদালতে দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। তিনিও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।