পাকিস্তানে ইসলামপন্থিদের বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে দেশটির সরকার।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ কট্টরপন্থিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শনিবার রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। বিক্ষোভ-অবরোধের ছবি যাতে গোটা পাকিস্তানে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য দুপুরের পর সরকারি নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলির সম্প্রচার।
পাক আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের অপসারণের দাবিতে গত দু’সপ্তাহ ধরেই ইসলামাবাদের মূল রাস্তাগুলি অবরোধ করে রেখেছিল তেহরিক-ই-লাব্বাইকের কর্মী-সমর্থকরা। শনিবার সকালে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের অপসারণের চেষ্টা শুরু করতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
ডন অনলাইন জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ৮ হাজার ৫০০ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা।তাতে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়। তারপর বিক্ষোভকারীদের হটাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। চালানো হয় জলকামানও। এসময় দেড় শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখমও হয়েছেন বহু পুলিশকর্মী।
বিকেলে এক্সপ্রেস হাইওয়ে দিয়ে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী ইসলামাবাদে প্রবেশ করে। এরপরই অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেয় পুলিশ।
তেহরিক-ই-লাব্বাইকের মুখপাত্র এজাজ আশরাফি বলেছেন,‘আমরা হাজারে হাজারে রয়েছি। তাই আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমরা লড়াই ছাড়ব না। শেষ দেখে থামব।’