প্রখ্যাত ভাস্কর-মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি……রাজিউন)।
মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
ল্যাবএইড হাসপাতালের সূত্রে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি, ইউরিন ও থাইরয়েডের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান। সেসময় হাসপাতালে নিয়ে কয়েক দফা তার চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি ছেলে ও তিন মেয়ের জননী প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের শিল্পচর্চায় নতুন ধারার সন্ধান দেন। ঘর সাজানো ও নিজেকে সাজানোর জন্য দামি জিনিসের পরিবর্তে চারপাশে পাওয়া ডাল, পাতা প্রভৃতি উপকরণ ব্যবহার প্রচলন করেন তিনি। ভাস্কর্য শিল্পে তার কাঠের কাজ খুবই দৃষ্টিগ্রাহ্য।
দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।
২০১০ সালে স্বাধীনতা পদক ছাড়াও তিনি ‘হিরো বাই দ্য রিডার ডাইজেস্ট ম্যাগাজিন, চাদেরনাথ পদক, অনন্য শীর্ষদশ পদক, রৌপ্য জয়ন্তী পুরস্কার, মানবাধিকার পুরস্কার অর্জন করেন।