বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ১৩৭তম জন্ম এবং ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে ঢাকা ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে । রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বেগম রোকেয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নারী সমাজকে আত্মোন্নয়নে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান।
রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
সমাজে নারী-পুরুষের অবদান সমান, তাই নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। নারীকে ছাড়া সমাজ কখনো পরিপূর্ণ নয়। খোড়া পা দিয়ে সমাজ কতদূর যেতে পারবে? সবাইকে সমানভাবে এগোতে হবে। এই বাস্তবতা স্বীকার করতে আমাদের সময় লেগেছে।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবসে আলোচনা ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এবার বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ পেয়েছেন চিত্রশিল্পী সুরাইয়া রহমান, লেখক শোভা রাণী ত্রিপুরা, সাংবাদিক মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ (মরণোত্তর), সংগঠন মাজেদা শওকত আলী, সমাজসেবা ফারুখ মাজেদা রত্না।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজে বেগম রোকেয়ার আদর্শের পথ ধরে আমরা আলোর যুগে প্রবেশ করেছি। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই আমরা এগিয়ে চলেছি।
এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের নারীরা রণাঙ্গণে যুদ্ধ করেছেন আবার গৃহেও তাঁরা সেই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করেছেন। যুদ্ধে নারী নির্যাতন সবচেয়ে বেশি হয়। এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে ২৩ বছরের সংগ্রামে নারীর ভূমিকাও অনস্বীকার্য।