যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৮ জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ব্রোয়ার্ড কাউন্টি শেরিফের বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে আটক করে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বিবিসি ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, টার্মিনাল-২ এর ব্যাগেজ সেকশনে এ হামলা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কয়েকশ’ মানুষ সেসময় বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান করছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারী ইরাক যুদ্ধের একজন যোদ্ধা। তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
টার্মিনাল ২-এর পাশে ব্যাগ বুঝে নিতে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন বন্দুকধারী। হঠাৎ তিনি গুলি ছুড়তে শুরু করেন। এ সময় লোকজন ছুটে পালান এবং অনেকে লোকানোর চেষ্টা করেন।
বন্দুকধারী এমনভাবে পোশাকে সজ্জিত ছিলেন যে, প্রথম দেখায় তাকে ২০ বছরের তরুণ মনে হচ্ছিল। তার পরণে ছিল স্টার ওয়ারস টি-শার্ট। গুলি চালানোর সময় তিনি কিছুই বলেননি।
ফ্লোরিডার সিনেটর বিল নেলসন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম এসটেবান সান্টিয়াগো। তবে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।
প্রক্ষ্যতদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি ফুরিয়ে যাওয়ার পর বন্দুকধারী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনি যাত্রী ছিলেন। আনলোডেড বন্দুক ও গুলিসহ ব্যাগ চেকইন করান তিনি। বিমান অবতরণের পর বাথরুমে বন্দুকে গুলি ভরেন এবং ব্যাগ সংগ্রহ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক-গুলি নিয়ে বিমান ভ্রমণের আইন আছে। আনলোডেড বন্দুক কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানে বহন করা হয়।
হোয়াইট হাউজের সাবেক প্রেস সচিব এরি ফ্লেইচার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমি এখন ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। এখানে গুলি করা হচ্ছে। সবাই দিকবিদিক ছোটাছুটি করছে।’
দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে বিমানের সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে। বৃহত্তর মিয়ামি এলাকায় যাওয়ার জন্য পর্যটকরা প্রধানত ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে।