ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার ভোর ৪টা ২৭ মিনিট থেকে ভোর ৬টা ১০মিনিট এবং ৬টা ২৭ মিনিট থেকে ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দুই দফায় সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
সকাল সাড়ে ৭টার দিক থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হলেও তিন ঘণ্টা গাড়ি আটকে থাকায় সেতুর পশ্চিমপাড় মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত সেতু দিয়ে মালবাহী ট্রাকই বেশি যাতায়াত করে।
“ভোরে সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বেশ কিছু ট্রাক সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগ সড়কে আটকা পড়ে। ফলে সেখানে লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।”
যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে আলাদা লেনে রেখে সেতু দিয়ে পারাপারের চেষ্টা চলছে। সেই সাথে আটকা পড়া ট্রাকগুলোও সেতুর টোলপ্লাজার দিকে যাচ্ছে।
তবে ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কছে দেরি হওয়ায় সেতু পারাপারে ধীরগতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
সেতুর পূর্বপাড় থানার ওসি আছাবুর রহমান জানান, ভোরের জটিলতার কারণে সকালে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে যানবাহনের কিছুটা জট থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকটাই কেটে গেছে।
যমুনা নদীর ওপরে এই সেতু রাজধানীর সঙ্গে দেশের উত্তর জনপদের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ। এর আগে বৃহস্পতিবারও কুয়াশার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে চলাচল বিঘ্নিত হয়।
গত ২ জানুয়ারি সকালে কুয়াশার মধ্যে ঢাকামুখী ছয়টি ট্রাক পরপর একে অপরকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়।
গতবছর ৯ জানুয়ারি কুয়াশার কারণে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি একসঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়লে একজন মন্ত্রীর ছেলেসহ সাতজন নিহত হন।